প্রত্যেক আমলের আগে সেই আমলের নিয়ত সঠিক করে নেয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য। কোরআন পড়তে বসার আগে নিয়তকে পরিপক্ক, পাকাপোক্ত সঠিক করে নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোরআন হেফয হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। কোন প্রকার প্রশংসা বা বাহবা পাওয়ার জন্য নয়। নিশ্চয়ই কোরআন হিফয এর পিছনে যদি মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি এবং তাঁর নৈকট্য কামনা না থাকে তাহলে এই কোরআন আপনাকে, আমাকে কোন উপকার করতে পারবে না বরং কেয়ামতের দিনে ভয়াবহ আযাব রূপে ঘাড়ের উপর চেপে বসবে।
এর জলজ্যন্ত দলিল হিসেবে আমরা হাদিসে কুদসি থেকে মহান আল্লাহ পাকের একটা কথা আপনাদের সামনে পেশ করছি হাদীসে কুদসীতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন যে,
আমার কোনো শরিক এর প্রয়োজন নেই। যে কেউ কোনো কাজ করার সময় আমার সাথে কাউকে শরিক করে, তাহলে আমি তার সেই কাজটি সে যাকে শরিক করেছে তার উপর ছেড়ে দেই।
আল্লাহ কোন আমলই গ্রহণ করেন না যেটা শুধুমাত্র খালেস ভাবে তার জন্যই করা না হয়।
অতএব কোরআন হিফজ করার সময়, তেলাওয়াত করার সময় অবশ্যই শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি, তার নৈকট্য এবং তার ভালোবাসা লাভের আশায় করতে হবে। কুরআন তেলাওয়াত এবং হিফযের মাধ্যমে যতটা মহান আল্লাহপাকের নৈকট্য এবং সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, আর কোন এবাদতের মাধ্যমে করা যায়না।কোরআন তেলাওয়াত করা, কোরআন মুখস্থ করা এবং তার উপর আমল করার চেয়েে বড় আমল আর নেই।