হাজীদের কাছে যে দোয়া চাইতে পারেন। Leave a comment

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ স্যার/ভাই/বন্ধু। দয়া করে রমাধানে, ইতিকাফে, হজ্জ ও ওমরায় আমার জন্য আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই এ দুয়াগুলো করবেন। *এখানে আপনার জন্যেও দুয়া আছে। তাই আপনার পরিচিত সবাইকে এটা শেয়ার করেন।*সর্ব শক্তিমান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে আমার জন্য দুয়া করবেন।

১। বিশুদ্ধ আকিদার জ্ঞানসহ আমৃত্যু ইমানের সাথে জীবন চলা। উপকারী জ্ঞান, পরিত্র রিজিক ও কবুল হবে ইখলাস সহকারে এমন আমল/ইবাদত করতে পারা। সকল ফরজ ইবাদত ইখলসের সাথে সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে করতে পারা যা কবুল হবে। ফরজ সালাত সর্বোচ্চ খুসু খুজুসহ আদায় করতে পারা। আল্লাহর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম পছন্দনীয় আমল করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা। আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সকল সন্তানরা যেন খাটি সালাত আদায়কারী হতে পারে তার দুয়া।

২। আমরণ সৃষ্টির ভয় দূর করে স্রষ্টার পরিপূর্ণ ভয় অন্তরে সর্বাবস্থায় লালন করতে পারা। নিজের নাফসসহ অন্যান্য সকল মিথ্যা ইলাহদের/মাবুদদের গােলামী না করে বাকী জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড নিজেকে আল্লাহর তায়ালার গােলামী/দাসত্বে নিয়ােজিত রাখতে পারা। আল্লাহ ও রসূল স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের নীতিমালা অনুযায়ী বন্ধু ও শত্রু খুজে নিতে পারা। আল্লাহর বন্ধুদের প্রতি নরম থাকা ও শত্রুদের প্রতি কঠোর থাকতে পারা। সকল প্রকার শিরক, কুফরি ও মুনাফিকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকতে পারা। এক্ষেত্রে লােকে কী বলবে তার পরােয়া না করা। পৃথিবীতে আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে আসা সকল পরিক্ষায় ইব্রাহীম (আঃ) এর মতাে ইমান নিয়ে পাশ করা। পাশ করতে পারবাে না এমন পরিক্ষার মুখামুখি না হওয়া। দূর্বল মুমিন না হয়ে শক্তিশালী মুমিন হতে পারার দোয়া। সুরা আসর এ বর্ণিত ক্ষতিগ্রস্থ নয় এমন লােকদের গুনাবলী পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গভাবে অর্জন করতে পারা ও তা আমরণ ধরে রাখা। সময়, সম্পদ ও জীবনে সর্বোচ্চ বারাকাহ লাভ করতে পারা। দাজ্জালসহ শেষ যামানার সকল ফিতনা/পরীক্ষা থেকে মুক্তি পাওয়া।

৪। আল্লাহ তায়ালার ভালােবাসা এবং তাকে যারা ভালােবাসেন তাদের ভালােবাসা পাবার জন্য দুয়া। অতীত সকল নাবী, সিদ্দীকিন, শহীদ ও সকর্মশীল বান্দাদের অনুসরণ করে চলা এবং বর্তমানে আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে যুগশ্রেষ্ঠ মুসলিম, মুমিন, মুত্তাকিন ও মুহসীন বান্দাদের সহচার্যে আমরণ থাকতে পারা। মৃত্যুর পরে সকল নাবী (আ:), তাদের সাহাবী ও অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে আগত সকল আল্লাহর প্রিয় জান্নাতি বান্দাদের সাথে একত্রে থাকতে পারা।

৫। আল্লাহর তায়ালার দ্বীনের সত্যিকারের সহায্যকারী হওয়া যেভাবে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করনে। একজন দায়ীর সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করা। দাওয়াত দিতে মিথ্যার আশ্রয় না নিতে হয় তার দুয়া। এমন চরিত্র অর্জন করতে পারা যা দেখে অমুসলিম ও পাপীরাও আল্লাহর তায়ালার পথে চলে আসেন। পরিবার থেকে শুরু করে পৃথীবির সকলের কাছে সত্যিকার দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দিতে পারা। দ্বীনের বিষয়ে মতবিরােধে সঠিক মত/পথ ও নির্দেশনা খুজে পাওয়া।

৬। আমি, আমার পিতা মাতা, ভাইবােন, সন্তান, স্ত্রীর এবং সকল মুসলিমদের মানসিক ও শারিরীক সকলপ্রকার রােগ থেকে আমৃত্যু সম্পূর্ণ সুস্থতা থাকতে পারার জন্য দুয়া। স্ত্রী, সন্তানরা (এবং ভবিষ্যতের সকল সন্তান সবাই) যেন সত্যিকারের আল্লাহ ভীরু ও (হাফেজ/হাফেজা ও সত্যবাদী আলিম/আলিমা) প্রজ্ঞাপূর্ণ জ্ঞানী হতে পারে।

৭। নয়ন জুড়ানাে ও তাকওয়াবান সন্তান প্রাপ্তির জন্য দুয়া। কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত মুত্তাকী ও মুমিনের সকল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সন্তান লাভ করা ও নিজেও সেরকম হতে পারা। বর্তমান সন্তানদের আল্লাহর দৃষ্টিতে যুগশ্রেষ্ঠ মুমিনদের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করা যার স্থায়ীত্ব জান্নাত পর্যন্ত হবে। আমাকে ও বর্তমান ও ভবিষ্যতে আগত সকল সন্তানদের আল্লাহ তায়ালা যেন মুত্তাকিনদের ইমাম বানান তার জন্য দুয়া।

৮ | আল্লাহর তায়ালার বন্ধু মুসলিমদের ও পৃথিবীর সকল অসহায়, অবহেলিত ও নির্যাতিত মানবতার সর্বোচ্চ সেবা করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট লাভ করতে পারা। এক্ষেত্রে সকল প্রকার অপারগতার জন্য আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারা। আল্লাহর দীনের প্রচারক, প্রতিষ্ঠাকারক, যােদ্ধা ও সমর্থক সকলকে আল্লাহ তায়ালা যেন সব ধরণের বিপদ থেকে নিরাপদ রাখেন তার জন্য দুয়া।

৯। কুরআনের হিফয ১০০% পাকা করতে পারা। আয়াত পড়তে পড়তে জান্নাতের সর্বোচ্চ তালায় উঠতে পারা। সকালের বরকত ও কুরআন তিলাওয়াত যাতে লাভ করতে পারি তার জন্য দুয়া। কুরআনের প্রতিটি শব্দ ও বাক্যের হিকমতপূর্ণ গভীর ও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা এবং তা আমল করতে পারা। স্মরণ শক্তি এবং জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দুয়া। প্রজ্ঞা, সৎ ধর্মপরায়ণদের মধ্যে সামিল, পরবর্তীদের মাঝে আমার সুখ্যাতি/স্মরণ দান ও সুখের জান্নাতের উত্তারাধিকারী হতে পারার দুয়া (২৬:৮৩-৮৫)।

১০। আরবি ভাষায় আরাবিয়ানদের চেয়ে দক্ষ হওয়া এবং এ ভাষার জ্ঞান দিয়ে হিকমতসহ (প্রজ্ঞা) দ্বীনি ও উপকারী জ্ঞানের সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারা এবং এ জ্ঞান বিশ্বময় সকল মানুষের নিকট ছড়িয়ে দিতে পারার দুয়া । পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে এ উপকারী জ্ঞান যেন, আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সন্তানদের মাধ্যমে যেখানে দিনের আলাে পৌঁছে সেখানে ছড়িয়ে যায় তার জন্য দুয়া।

১১। বারবার হজ্জে যেতে পারা এবং প্রতিবার কবুল হজ্ব করতে আসা। দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করা বা এ ফিতনার সময় মাদিনায় অথবা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল স্বল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত পদ্বতিতে ও স্থানে আশ্রয় নিতে পারা। হজ্জ ও হজ্জের এলাকার জন্য এমন কোন খেদমত করতে পারা যার দ্বারা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সকল হাজ্জীগন উপকৃত হবেন। জীবনে যত রমাদান মাস পাব তাতে সর্বোচ্চ আমল করতে পারা এবং কোন ভাবেই যেন কদরের রাত্রীর সৌভাগ্য হতে বঞ্চিত না হই তার জন্য দুয়া।

১২। পিতামাতার এমন খেদমত করতে পারা যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাত লাভ করতে পারি। পিতামাতা যেন তাদের সকল সন্তানসহ দ্বীনের পথে থাকেন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে জান্নাতে যেতে পারেন তার জন্য দুয়া।

১৩। আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে মুমিনদের জন্য যত পুরস্কারের ওয়াদা করা হয়েছে তার যােগ্য হওয়ার জন্য দুয়া। অজ্ঞদের মতাে দোয়া করা থেকে বাঁচতে পারা। আমার প্রয়ােজনীয় কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত সকল দুয়ার ফলাফল লাভ করতে পারা। যে কোন প্রয়ােজন বা চাহিদা আল্লাহ তায়ালার কাছেই উপস্থাপন করতে পারি অর্থাৎ জীবনের সকল বিষয় আল্লাহর উপর নির্ভর করতে পারি তার জন্য দুয়া।

১৪। সৃষ্টিকে প্রাধান্য না দিয়ে আমরণ স্রষ্টাকে প্রাধান্য দিতে পারা। আখিরাতের জীবেনর উপর পরিপূর্ণ ইয়াকিন (নিশ্চিত বিশ্বাস) রাখা এবং এখানে সর্বোচ্চ সফলতার জন্য প্রতিযােগিতায় লিপ্ত হতে পারার দুয়া ।

১৫। রিজিক নিয়ে সম্পূর্ণ টেনশন মুক্ত থাকতে পারা। হালাল রিজিকে সন্তুষ্টি থাকতে পারা এবং হারাম (সকল প্রকার নেশা সহ) থেকে সম্পূর্ন নিরাপদ থাকতে পারা। এমন রিজিকের ব্যবস্থা থাকা যাতে কারাে কাছে হাত পাততে না হয় আবার এমন প্রাচুর্য না হয় যাতে বিলাসবহুল জীবনে উদ্বুদ্ধ বা অহংকারী হই। হালাল রিজিক থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সঠিক নিয়মে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ফরজ ও নফল দান করতে পারা। সর্বোপরি ভাগ্যের উপর পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট থাকার জন্য দুয়া।

১৬। সরাসরি জান্নাতে যেতে পারা। কবরের প্রশ্নত্তোর ও আযাব থেকে মুক্তির দুয়া। একদিনের জন্যও যেন জাহান্নামে না থাকতে হয় এবং এর জন্য যা করা প্রয়োজন তা যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে দিয়ে করিয়ে নেন তার জন্য দুয়া। জান্নাতুল ফেরদাউসের সর্বোচ্চ স্তর পাবার দুয়া। আল্লাহ তায়ালার কাছাকাছি জান্নাতেএকটি বাড়ি পাওয়া এবং জান্নাতে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পারার জন্য দুয়া।

১৭। সর্বাবস্থায় (গুনাহ করা ও না করা উভয় অবস্থায়) আল্লাহর তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে পারা এবং পৃথিবীতে থাকতেই তাঁর সম্পূর্ণ ক্ষমা লাভ করতে পারি তার জন্য দুয়া। আমলনামার সকল গুনাহ যেন মৃত্যুর পূবেই আল্লাহ তায়ালা কোন শাস্তি ছাড়াই সম্পূর্ণ মুছে দেন। ভবিষ্যতের সকল প্রকার গুনাহ থেকে আল্লাহ তায়ালা যেন নিজ থেকে আমাকে, আমার পরিবার ও আহত সন্তানদের রক্ষা করেন। যে গুনাহ করে ফেলেছি কমপক্ষে তার সমপরিমাণ বা তার বেশি(কাফফারা হিসাবে) ভালাে কাজ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে উপস্থিত হওয়ার তৌফিক লাভ করা। ক্ষুদ্রতম সময়ের জন্যও আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে আমার নাফসের উপর ছেড়ে না দেন। হিসেবের দিনে তিনি যেন আমাকে আমার পিতা মাতা এবং সর্বকালের সকল মুমিদের যেন ক্ষমা করে দেন। আমার জীবনের শুরু থেকে যারা আমার প্রতি প্রকাশ্যে ও গােপনে জুলুম/অবিচার/ক্ষতি করেছে তাদের সকলকে আল্লাহ তায়ালা যেন ক্ষমাকরে দেন। তবে যারা আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধাচারণ করছেএবং দ্বিীনের পথে বাধা দিচ্ছে এবং এ পথের জীবিত ও মৃত মুমিনদের কষ্ট দিচ্ছেন তাদেরকে যেন আল্লাহ তায়ালা হিদায়েত দেন অথবা কঠিন শাস্তি দেন।

১৮। রসুলল্লাহর (স্বল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ১০০% অনুসরণের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ ভালবাসতে পারা। তার প্রতি পৃথিবীর সর্বকালের সকল মুসলিমদের (প্রতিযােগিতা করে) চাইতে বেশি দুরুদ নিয়ে জান্নাতে তাঁরসাথে সাক্ষাত করতে পারা। তিনি (স্বল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তার সাহাবী, তাবেয়ী ও সকল যুগের শ্রেষ্ঠ মুমিনদের সাথে জান্নাতে থাকতে পারার জন্য দুয়া।

১৯। গীবত ও অপবাদ থেকে সম্পূর্ণ বেচে থাকতে পারা। যাদের গীবত করে ফেলেছি তাদেরকে যেন আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন যাতে তারা আমার সাওয়াবগুলাে আখিরাতে না নিয়ে নেন। বিনা কারণে কারাে (কথা বা কাজ দিয়ে) ক্ষতি বা কারাের উপর জুলুম না করা। অন্তরের সকল রােগ (গােপন শিরক, কুফর, নিফাক, রিয়া ইত্যাদি) থেকে সুস্থ থাকতে পারা।

২০। দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোচ্চ কল্যান লাভ করতে পারা। এমন মূলক লাভ করা যা অন্যকেহ প্রাপ্ত হয়নি। দুনিয়া ও আখিরাতের সকল স্থায়ী নিয়ামত লাভ করতে পারা যা কখনও শেষ হবেনা। অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট, দুর্ভাগ্যেরআক্রমণ, মন্দ ফায়সালা ও শত্রুর খুশী হওয়া বাচার দুয়া। মন্দ দিন, মন্দ রাত, মন্দ মুহুর্ত, মন্দ সংগী ও মন্দ প্রতিবেশী থেকে বাচার দুয়া। অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, জরাগ্রস্ততা, অন্তরের কাঠিন্য, উদাসীনতা, লজ্জা ও সহায় সম্বলহীনতা থেকে বাচার দুয়া। দারিদ্র্য, কুফরি, ফাসেকি, বিরুদ্ধাচারণ, মুনাফেকি, কুখ্যাতি এবং লোক দেখানো ইবাদত থেকে বাচার দুয়া। বধিরতা, বাকশক্তিহীন্তা, মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ট, ধবল এবং সকল প্রকার ঘাতকব্যাধি থেকে বাচার দুয়া। বিপদকে আল্লাহর সুবাহানহু ওয়াতাআলার নিয়ামত/পরীক্ষা মনে করা এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য নিয়েই বিপদমুক্ত হতে পারার দুয়া । সুখে ও দুঃখে সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার বেশী বেশী শুকরিয়া আদায় করতে পারা। জিওবাহকে সর্বদা তার স্বরণে ব্যস্ত রাখতে পারা। আমার জীবনে অতীত যে সকল সঠিক দোয়া করেছি, বর্তমানে যা করছি এবং ভবিষৎতে যা করবাে তার সব কবুল করে নেয়া।সর্বোপরি যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত দিয়েছেন, নিরাপত্তা দিয়েছেন, যাদের অভিভাবকত্ত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের তালিকায় আমাকে ও আমার পরিবারকে রাখা, আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য যে ফয়সালা (ভাগ্য নির্ধারণ) করছেন তার অকল্যান থেকে যেন আমাকে রক্ষা করেন এবং আমাকে যে কোন স্থানে সত্যের সাথে প্রবেশ করান এবং সত্যের সাথে বের করেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যকারী শক্তি দান করেন। *আমার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মস্থলের পরিচিত সকল মানুষকে যেন আল্লাহ তায়ালা আমার দাওয়ার দ্বারা হিদায়েতের ব্যাবস্থা করেন তার জন্য দুয়া।* উপরােক্ত দুয়াগুলাে যেন আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর বর্তমান ও ভবিষ্যতে আগত সকল মুসলিমদের জন্যও কবুল করেন, আমিন।

*এতগুলাে দুয়া মনে না থাকলে বলবেন, হে আল্লাহ তায়ালা আমার ভাইয়ের (যিনি উক্ত দুয়াগুলাে চেয়েছেন) চাহিদাকৃত মনের সকল দুয়া গুলাে কবুল করুন।* দয়া করে এবং বিশেষভাবে কাবার মধ্যে, প্রতি তাওয়াফে, আরাফার ময়দানে ও যমযমের পানি পান করার সময়, ছােট ও মধ্য জামরায় পাথর নিক্ষেপের পরে, সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের উপরে, মুযদালিফায় কথাগুলাে কম পক্ষে তিনবার বলবেন। এছাড়া দুয়া কবুলের সময় যেমন;রাতে ঘুম থেকে উঠে নির্দিষ্ট দোয়াটি পাঠের পরে, ওযুর দোয়ার পরে, রাতের শেষাংশে, তাহাজ্জুদে, ফরজ সালাতের জন্য আযান দেয়ার সময়, আযান ও ইকামতের মাঝে, ফরজ সালাতের পরেই, সিজদার মধ্যে, জুমার দুই খুতবার মাঝে যখন ইমাম বসেন, জুমার দিন আসর হতে মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়, বৃষ্টির সময়, মােরগ ডাকার সময়, সালাতের শেষ বৈঠকে দুরুদের পর, ভ্রমণের সময়, দুরুদ পড়ার পরে, যিকিরের মজলিসে, বিপদের সময়ে, অসুস্থ অবস্থায়, রােজা অবস্থায়, ইফতারের সময়, লাইলাতুল কদরের রাত্রিতে এবং আল্লাহর পথে জিহাদে অগ্রসর হবার সময়ে আল্লাহ সুবহানাহুর কাছে আমার জন্য উক্ত দোয়াগুলাে করবেন। দয়া করে ভূলে যাবেন না ইন-শা-আল্লাহ। *আল্লাহ তায়ালার রহমতে আমার দ্বারা কৃত সকল দ্বীনি খেদমত কবুল করেন, এতে বারাকাহ দেন, ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেন এবং এগুলো কিয়ামত সাদাকায়ে জারিয়া হিসাবে চালু রাখেন তার জন্য দুয়া। আমিন*যারা দুয়া করেছেন বা করবেন, মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের, ঈমাণ, সালাত, সাওম, যাকাত ও সকল দান সাদাকাহ, হাজ্জ্ব ও সকল ইবাদতকে কবুল করুন। আমিন ।।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SHOPPING CART

close